কৃষি প্রধান আমাদের এ বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের সুপরিকল্পনায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাংলার কৃষকরা কৃষিতে সমৃদ্ধি অর্জন করেছেন। সে স্রোতধারায় বাংলাদেশ আজ কৃষিতে সয়ংসম্পূর্ণ এবং বিশ্ব দরবারে সম্মানের স্থান অর্জন করে নিয়েছে। সার্বিক অর্জনকে অব্যাহত রেখে কৃষির কার্যক্রম আরো গতিশীল করার উদ্দেশ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা সফর করেন। সফরকালে গত ৩/০৮/১৮ তারিখে চাঁদপুরের কয়েকটি স্থানে ফিয়াক সেন্টার, এনএটিপির প্রদর্শনী, ভার্মি কম্পোস্ট/কুইক কম্পোস্ট প্রদর্শনী, খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সেবা কেন্দ্র, রাজস্ব খাতের প্রদর্শনী, ভাসমান বীজতলা ও সবজি চাষ পদর্শণী, প্রস্তাবিত হর্টিকালচার এর স্থান এবং কুমারডুগী সবজি সিআইজি সমবায় সমিতি পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা করেন। এরপর ০৪/০৮/১৮ তারিখে দিনের প্রথমভাগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের জেলা-উপজেলা ও অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে রোপা আমন ও চলমান কর্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন-আমাদের কৃষি বিভাগ হলো সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের উদ্দেশ্যে দেশের সর্বস্তরের কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগতকরণ নিশ্চিত করতে হবে। সে সাথে কৃষিবান্ধব সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপস্থিত সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন- কৃষিবিদ মো. জাহেদুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা। এর আগে- কৃষিবিদ দিলিপ কুমার অধিকারী, উপপরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মো. আলী আহাম্মদ, উপপরিচালক, ডিএই, চাঁদপুর ও কৃষিবিদ মো. আবু নাছের, উপপরিচালক, ডিএই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিজ নিজ জেলার চলমান কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-কৃষিবিদ সুরজিত চন্দ্র দত্ত, উপরিচালক, হর্টিকালচার সেন্টার, কুমিল্লা ও কৃষিবিদ মো. আসিফ ইকবাল, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কুমিল্লা। মতবিনিয় অনুষ্ঠান শেষে তিনি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার প্রস্তাবিত নতুন অফিস ভবন এর স্থান পরিদর্শন করেন ও বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। একই দিনে চান্দিনা নাওতলা ব্লকে কৃষক মো. রাসেলের জমিতে ভাসমান বেডে আমন বীজতলা প্রদর্শণী ও প্রণোদনার আওতায় বিতরণকৃত আউশ মৌসুমের নেরিকা ধানের প্লট পরিদর্শণ করেন। এসময় মহাপরিচালকের সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন- কৃষিবিদ ড. রতন চন্দ্র দে, পরিচালক, এনএটিপি(ফেজ-২) প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।